আজিজুর রহমানের মৃত্যুতে ড. আব্দুস শহীদের শোক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, সাবেক সংসদ সদস্য, সদ্য স্বাধীনতা পদকে ভূষিত আজিজুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।

শোক বার্তায় তিনি বলেন, আজিজুর রহমান রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ৪নং সেক্টরের রাজনৈতিক সমন্বয়কারী, গণপরিষদ সদস্য, , জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় সাবেক হুইপ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ‌মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মানব ও সমাজ কল্যাণে তিনি তার জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয়, প্রবীণ মুরব্বী, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সবার প্রিয় আজিজ ভাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জাতি একজন সূর্য সন্তানকে হারালো। এ সময় উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

   

ডিএমপির ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি: ডিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ঢাকার ৫০টি থানা এলাকার মধ্যে ১০টি থানা এলাকায় এসব কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ লক্ষ্য করা যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র আয়োজনে 'কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে 'ছায়া সংসদ' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

তিনি বলেন, আজকের কিশোর আগামীদিনের যুবক। তারাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি 'কিশোর গ্যাং'।

আজকের কিশোর, তরুণরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এজন্য তাদেরকে নিয়ে 'কিশোর গ্যাং' শব্দ বলতে চাই না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও পুলিশ সদস্যরা কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। পরিবার থেকে মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক।

মোবাইলের দুটি দিক উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, একটি নেতিবাচক অন্যটি ইতিবাচক। একটি মোবাইল একটি লাইব্রেরি, একটি জ্ঞান ভাণ্ডার। মোবাইলের পজিটিভ দিক শিক্ষার্থীরা যেন ব্যবহার করে সেই শিক্ষাটা অভিভাবকদের দিতে হবে।

খেলাধুলার জায়গার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।

কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত অদ্ভুত নাম রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা বা গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

টিকটকে অশ্লীল কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতিমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম বিটিআরসির কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয় নিয়মিত।

কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধানারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্ছার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত কাউন্সিলদের নাম পত্রিকায় এসেছে। এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছে যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য আমরা পাইনি ।

কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল, যারা রাস্তায় কাজ করেন। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক উপনেতা-পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানোও হচ্ছে।

সমাজে ভদ্রলোকের সংখ্যা অনেক বেশি জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। ভদ্রলোক মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে তিনি থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তিপ্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িতরা বেশিরভাগই নষ্ট রাজনীতির শিকার। অভিযোগ রয়েছে কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতা ও 'বড় ভাই'রা শিশু-কিশোরদের তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে। অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। রাজনৈতিক ও ব্যক্তিস্বার্থে অর্থের বিনিময়ে অপরাধ করাচ্ছে। জমিজমা, ঘরবাড়ি দখল করাচ্ছে। আবার পুলিশ আটক করলে তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনছে, প্রয়োজনে জামিনের ব্যবস্থাও করছে। ফলে এসব শিশু কিশোররা কিশোর গ্যাং কালচারে সম্পৃক্ত হয়ে বড় ভাইদের পক্ষে ভাড়ায় খাটছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সর্বস্তরে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ভয়েস রেইস করতে হবে। কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যের মদদদাতাদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জি এম তসলিম, সাংবাদিক জিয়া খান, সাংবাদিক অনিমেষ কর ও সাংবাদিক কাওসার সোহেলী।

;

সরকারি খরচে আইনি সেবা পেয়েছেন ১০ লক্ষাধিক মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৯ সাল থেকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে ১০ লক্ষাধিক মানুষ বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৪৫ কারাবন্দিকে ৬৪টি জেলা কমিটির মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ১৮৭ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৭ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছে জাতীয় আইনগত সতায়তা সংস্থা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিগ্যাল এইডে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৬ মামলায়। এর মধ্যে আইনি সহায়তার মাধ্যমে ১ লাখ ৯৪ হাজার ১২২টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি সেবার মাধ্যমে লিগ্যাল এইডে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৩টি। এডিআর এর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৮টি মামলায়। এ সময়ের মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৯২টি মামলায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৪২৪ জন, দেশের ৬৪টি জেলার লিগ্যার এইড অফিসের মাধ্যমে ৮ লাখ ২ হাজার ৪০৭ জন, ঢাকা ও চট্রগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৩৩০ জন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন কলসেন্টার ১৬৪৩০ নম্বরে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন। জাতীয় হেল্পলাইন সৃষ্টির আগে হটলাইনের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে সরকারি খরচে আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ পালিত হবে। দিবসটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করতে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তার সংস্থার যৌথ উদ্যোগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকার ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিলকে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ ঘোষণা করেন। সকল মানুষের বিচার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রম প্রচারের মাধ্যমে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই দিবসটি প্রতিবছর পালন করা হয়। এবার ১২তম বার এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।

;

গাছ লাগিয়ে গিনেস বুকে রেকর্ড করতে চায় ছাত্রলীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ছাত্রলীগের লক্ষ্য এক ঘণ্টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃক্ষরোপণের রেকর্ড করা। জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনে শামিল হয়ে আমরা গিনেস বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিতে চাই। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে সড়কপথে ফেনী হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে যাওয়ার পথে ফেনী পৌরসভা চত্বরে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত পথসভায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পথসভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, দেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে, মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবার জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভূমিকা রাখতে চায়। এ বৃক্ষরোপণ অভিযানেও ছাত্রলীগ চ্যাম্পিয়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিষ্ঠ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করেন ঠিক একইরকম স্পিডকে ধারণ করে রাজনীতি করব। এটাই আমাদের মৌলিক চাওয়া। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি সেই কাজগুলো করতে পারি তাহলে আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্যগুলো সহজে অতিক্রম করতে পারব।

ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে সবসময় সোচ্চার থাকবে উল্লেখ করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, যারাই এ বাংলাদেশের মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার নিয়ে নতুন করে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করবে, আগুন সন্ত্রাস কায়েম, রাজাকারদের রাজনীতি বাংলার মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে এবং দেশের জনগণকে অপমান করে বিদেশিদের ধরে বাংলার ক্ষমতার মসনদে বসার স্বপ্ন দেখবে, তাদের স্বপ্নকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুঃস্বপ্নে পরিণত করবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে, শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন বিনির্মাণ করার প্রয়োজনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবসময় সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে।

ফেনী জেলা ছাত্রলীগের প্রশংসা করে সাদ্দাম বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অনেক ভুলভ্রান্তি, গ্রুপিংসহ নানা ধরনের নেতিবাচক বাস্তবতা রয়েছে। যেগুলোর কারণে আমাদের সংগঠনের যে শক্তি, ঐক্য ও দৃঢ়তা রয়েছে সেই ধাপগুলো অনেক সময় অতিক্রম করতে পারি না। এই নানামুখী নানা নেতিবাচকতার ভিড়ে আপনাদের এমন ঐক্য, দৃঢ়তা ও শৃঙ্খলা সত্যিই ইতিবাচকতার আলো দিয়ে সবাইকে পথ দেখাতে পারে। এ ইউনিট যেভাবে সংগঠনকে সু-সংগঠিত করতে কাজ করছে সেটি সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আমরা এটিই চাই।

সাদ্দাম আরও বলেন বলেন, ফেনীর যে ঐতিহ্য রয়েছে এটি সত্যিই আমাদের জন্য আশা জাগানিয়া। আপনাদের পরতে পরতে বীরের ইতিহাস। ফেনীর ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই, সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও বিজয়ের ইতিহাস লেখা রয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই এ ফেনীর গৌরবগাঁথা মাটি থেকে জন্ম নিয়ে আমাদের রাজনীতি, কথা সাহিত্য, পর্বতজয় ও অলিম্পিয়াডে নেতৃত্বে দিবে। আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, ফেনী জেলা ছাত্রলীগ হবে ফেনীর সকল আলোকিত তরুণদের সেই প্রতিষ্ঠান। এতো অজস্র নেতাকর্মীর সঙ্গে ভোর দেখতে পারা আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলোর একটি।

এসময় আধুনিক, যুগোপযোগী, স্মার্ট ও শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতি বিনির্মাণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের চ্যাম্পিয়ন থেকে ছাত্রসমাজকে পথ দেখাতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।

পথসভায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, এতো ভোরে জেলা পর্যায়ে এমন বড় জমায়েত করে ফেনী জেলা ছাত্রলীগ একটি রেকর্ড করেছে। এটির মাধ্যমে ফেনী ছাত্রলীগকে একটি মডেল ইউনিট হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। এ ইউনিট অনেক সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। আগামীতে একটি ছাত্র সমাবেশের মাধ্যমে আবার এ জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা হবে বলে আশাবাদী।

কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন কাছ থেকে দেখতে পেয়ে এবং দিকনির্দেশনা পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, দেশের ছাত্র সমাজের দুই আইডল আমাদের মাঝে প্রথমবারের মতো এসেছেন এটি আমাদের জন্য সৌভাগ্য। ফেনী ছাত্রলীগ তাদের বরণ করে নিতে আয়োজনের কমতি রাখেনি। রাতভর অপেক্ষা করেছে, স্লোগান দিয়েছে। সারারাত উৎসবে কাটিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদের পরিচালনায় পথসভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পথসভাকে কেন্দ্র করে ফেনী পৌরসভা চত্বরে রাতভর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অপেক্ষায় থাকেন ফেনী জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা। রাতভর স্লোগানে স্লোগানে শহর মুখরিত করে রাখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

;

চিফ হিট অফিসার বুশরা উত্তর সিটির কেউ না: মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়োগপ্রাপ্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কেউ না বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির অফিসে তার বসার জন্য নির্ধারিত কোন স্থানও নেই বলে জানান তিনি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ বেতারের সামনের সড়কে ‘বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র তাপদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসি'র ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন' শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনকে নিয়োগ ও বেতনভাতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিক বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন যাবত আমাদের চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে অনেকে বলছেন সিটি করপোরেশন থেকে বেতন বেতন পাচ্ছেন। বলে রাথা ভালো, সিটি করপোরেশন থেকে একটি টাকাও সে পায় না।

তিনি আরও বলেন, হিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি কোম্পানি অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক) থেকে। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে। চিফ হিট অফিসার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমাদের পরামর্শ দিবে। কাজ কিন্তু আমাদের সকলকে করতে হবে। হিট অফিসার কিন্তু কোন কাজ করবে না।

মেয়র আরও বলেন, আমি আগেও বলেছি, সিটি করপোরেশনে চিফ হিট অফিসার বুশরার বসার কোন ব্যবস্থা নেই। তার কোন চেয়ারও কিন্তু নেই। এটা সম্পূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি যারা আছে তারা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের ৭টি দেশে মহিলা হিট অফিসার নিয়োগ করেছে। আমি তাদের বলেছিলাম মহিলা কেনো নিয়োগ করছেন, তারা বলেছে, মহিলাদের গরমের সময় অনুভবটা বেশি হয়। এ জন্যই তারা মহিলা হিট অফিসার নিয়োগ করেছে।

এর আগে, ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করা পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও ২৫০টি ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করার জন্য সড়কে নামানো হয়েছে।

;