মাঠেই ঘুমিয়ে পড়লেন ধোনি

পালেকেল্লেতে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে তৃতীয় ওয়ানডে চলছে। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও রোহিত শর্মার দারুণ ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। কোহলির দল যখন একেবারে জয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখন হট্টগোল শুরু করে দেয় লঙ্কান সমর্থকরা। স্বদেশি ক্রিকেটারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের প্রতিবাদে মাঠের ভেতর বোতল ছুড়ে মারতে থাকে তারা। এই সময় কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ থাকে। ঠিক এমন সময়ই মাঠে কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে পড়েন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনির ঘুমানোর খবর ‘টক অব দ্য’ ডে-তে পরিণত হয়েছে। ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এমন তথ্য জানিয়েছে।
একটা সময় ৬১ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত। এমন অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রোহিত শর্মা। রোহিত বড় বড় শট খেললেও ধোনি ছিলেন ধীরস্থির। এক-দুই রান নিয়ে দলের রানের চাকাটা সচল রাখেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। এটা করতে গিয়ে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েন তিনি। শ্রীলঙ্কার সমর্থকদের হট্টগোলে জিরিয়ে নেওয়ার কিছুটা সময় পেয়ে যান ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। এজন্য মাঠেই শরীরটাকে এলিয়ে দেন ধোনি।
কর্মক্ষেত্রে আরো বেশি উদ্যমী হওয়ার জন্য অনেকেই ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিয়ে থাকেন। পাওয়ার ন্যাপ হলো কাজের ফাঁকে খানিকটা সময় ঝিমিয়ে নেওয়া। টানা কাজের ক্লান্তি কাটাতে দুই-চার মিনিট ঝিমিয়ে নেওয়ার ফলে শরীরের কোষগুলো তরতাজা হয়ে ওঠে। ফলে আমরা কাজের মাধ্যমে যে শক্তি হারাই এবং দুর্বলতা অনুভব করি, তা পুনরায় ফিরে আসে। এর ফলে দারুণ মনোবল ও শারীরিক সক্ষমতা ফিরে আসে। খেলার মাঠে এই কাজ করেই আলোচনায় চলে এসেছেন ধোনি।
হট্টগোল ঠেকাতে পালেকেল্লেতে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন লাহিরু থিরিমান্নে। ভারতের হয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখেন জাসপ্রিত বুমরাহ। জবাবে রোহিত শর্মার অপরাজিত ১২৪ ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ৬৭ রানে ভর করে ২৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচটা জিতে নেয় ভারত। এর ফলে সিরিজও জিতল কোহলির দল।