আগের অধিনায়কত্বের কথা মনেই নেই সাকিবের!

সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা বললে ভুল বলা হবে না। ব্যাট ও বল হাতে দেশকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। সে হিসেবে অধিনায়ক সাকিব ছিলেন অনেক বেশি বিতর্কিত। ব্যক্তিগত নানা আচরণের জন্য বিভিন্ন সময়ে নিন্দিত হয়েছেন তিনি। তাই ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন তিনি। সময়ের সঙ্গে এখন অনেক বেশি পরিণত তিনি। তাই আবার নেতৃত্বের ভার এসেছে তাঁর হাতে। টি-টোয়েন্টির পর এবার পেলেন টেস্ট অধিনায়কেরও দায়িত্ব। অথচ আগেরবারের অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতার কথা নাকি মনেই নেই বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের।
সাকিব এর আগে ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি নয়টি টেস্ট, ৫০টি ওয়ানডে ও ছয়টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আগের অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, 'সতি কথা বলতে কি, আমার তো মনে নেই তখন কী হয়েছিল।'
অবশ্য সাকিব নয়টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে খুব একটা সাফল্য পাননি। তাঁর অধীনে মাত্র একটি টেস্টে জিতেছিল বাংলাদেশ, খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আর আটটি টেস্টেই হেরেছিল বাংলাদেশ।
তবে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিব ছিলেন বেশি সফল। এর আগে ৫০টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ২৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছেন এবং হেরেছেন ২৬টিতে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। অবশ্য টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন। ছটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ছটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ।
গতকাল রোববার মুশফিকুর রহিমকে সারিয়ে টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাকিবকে। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ছিলেন মুশফিক। ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি ৩৪টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অধীনে সাত টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। ৯টি টেস্ট ড্র হয়েছে। আর হেরেছে ১৮টি টেস্ট।
মুশফিকের নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই সাফল্য। আর শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারানো।