পিআরপির সঙ্গে প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থার পার্থক্য কী?

পিআরপি নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি। প্রচলিত চিকিৎসার থেকে এর কিছু পার্থক্য স্বভাবতই রয়েছে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৯০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এ কে এম মহিউদ্দীন। বর্তমানে তিনি সিওর সেল মেডিকেলের অর্থোপেডিকস বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : পিআরপির সঙ্গে বর্তমান প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির পার্থক্য কী।
উত্তর : আসলে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে আমরা রোগীকে ব্যথার ওষুধ দিই, স্টেরয়েড ইনজেকশন দিই, আরেকটি কৃত্রিম ওষুধ আছে যেটি হাইলুনিক এসিড নামে পরিচিত- এগুলো দিই। তবে এই সবগুলো জিনিসের অনেকগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমন : ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনিতে সমস্যা হয়। সঙ্গে যদি ব্যথার ওষুধ খায়, সে ক্ষেত্রে কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। লিভারে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া কার্ডিয়াক সমস্যা হতে পারে। আসলে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসার একটি জায়গা আমাদের দরকার ছিল। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
নিজস্ব কোষ থেকে আমি আমার আঘাতের জায়গাটা যদি পুনর্গঠন করতে পারি, সেটা অনেক ভালো। সেই জায়গাটিই পিআরপি করে দিয়েছে। এটি আমাদের চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি নতুন ধাপ তৈরি করেছে। আমরা কোনো মেডিসিন বা সার্জারি ছাড়াই এটি করতে পারব।
প্রশ্ন : পিআরপির চিকিৎসা কি কেবল সরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে না কি বেসরকারিভাবে পাচ্ছে?
উত্তর : আমরা বাংলাদেশে প্রথম এটা শুরু করেছি। আমি দেখেছি বাংলাদেশের অনেক সরকারি হাসপাতালে ওনারা শুরু করেছেন। অনেকেই এটি ব্যবহার করা শুরু করেছে। আশা করি, ভবিষ্যতে সবাই এটি ব্যবহার করবে।